অনলাইন ডেস্ক
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কলকাতার হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের অন্তত ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকে পড়ে যায়। সে সময় অন্য দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটি লাইনচ্যুত বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মালবাহী ট্রেনও সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ে।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগিগুলোতে অনেকে আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং আহতদের দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
অর্ধশতাধিক অ্যাম্বুলেন্স হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্যের কর্মীরা আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। উড়িষ্যা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধার তদারকি করছেন। বালাশোর এবং আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে জরুরি সেবা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়, চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করে থাকেন। ফলে রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন। দুর্ঘটনাবিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে উপহাইকমিশন।
এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা