অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (১৭ জুন) দীর্ঘ সাত বছরের অচলায়তন ভেঙে, ইরান সফর করেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
এ সময় বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। পরে রাজধানী তেহরানে বৈঠক করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান বৈঠকের বিষয়বস্তু। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তারা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আজকের আলোচনায় ফিলিস্তিন ইস্যুকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। রিয়াদ ও তেহরান মনে করে, ইসলামী বিশ্বের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এ ছাড়া টেকসই অর্থনীতি, বাণিজ্য, ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে নানা বিষয় আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতেও। ইরান তার নিরপত্তার নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করতে চায় না, এ জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা।
এদিকে রিয়াদে ইরানের দূতাবাস খোলায় দেশটিকে ধন্যবাদ জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিগগিরই তেহরানেও উড়বে সৌদি পতাকা। এ ছাড়া বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক নৌচলাচল ও জলপথের নিরাপত্তা গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া গণবিধ্বংসী অস্ত্র পরিহারে এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি।
দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে চলতি বছরের ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক জোড়া দেয় সৌদি-ইরান। ওই দিন বেইজিংয়ে দেশ দুটির স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক এক চুক্তি। যার অংশ হিসেবে দুই দেশ একে অপরের রাজধানীতে ফের দূতাবাস খুলতে একমত হয়। ২০১৬ সালে ইরানের শিয়া অনুসারী ধর্মীয় নেতাকে ফাঁসি দিয়েছিল রিয়াদ। এর জেরে তেহরান তাদের কূটনীতিক মিশনে হামলা চালালে সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা