রাজশাহীর পদ্মায় বর-কনেবাহী দুটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ থাকা নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণির (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পদ্মার শ্যামনগর এলাকা থেকে তার মৃরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কনে সুইটি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে। দেড় মাস আগে পদ্মার ওপারে একই উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে রুমন আলীর (২৬) সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম।
এর আগে এ ঘটনায় রোববার আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে জেলেদের জালে উঠে আসে রুবাইয়া আক্তার স্বর্ণার (১২) মরদেহ। রুবাইয়ার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়ায়। সে কনে পূর্ণির ফুপাতো বোন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
বিকাল ৩টার দিকে চারঘাটে সুইটির খালা আঁখি খাতুনের (৪৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। আঁখির বাবার নাম আবুল হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাটে। আঁখির স্বামী আসাদুজ্জামান জনির বাড়ি মহানগরীর ভাটাপাড়া এলাকায়।
এ ছাড়া রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটি নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার দুপুরে অন্য নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছিল।
এদিকে গত শুক্রবার রাতে নৌকাডুবির পরই মরিয়ম (৬) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া আরও যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে, তারা হলেন- কনে সুইটির ফুফাতো বোন রুবাইয়া আক্তার স্বর্ণার (১৩), সুইটির চাচা শামীম হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী মনি খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে রশ্মি খাতুন (৭), কনের খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২৮), দুলাভাই রতন আলী (৩০) এবং তার মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬)।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা