অনলাইন ডেস্ক
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ডিক্রির বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসি) এমন খবর দিয়েছে।
আদেশে বলা হয়, নাবালক অবস্থায় করা অপরাধের দরুন কোনো নারী কিংবা পুরুষকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হলে তা আর কার্যকর করা হবে না।
বিকল্প হিসেবে ওই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। কিন্তু কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের সাজা দশ বছরের বেশি হবে না।- খবর রয়টার্স ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এক বিবৃতিতে এইচআরসির সভাপতি আওয়াদ আল-আওয়াদ এসব দাবি করেছেন।
এর আগে সৌদি আরবে চাবুক মারার শাস্তি উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চাবুক মারার বদলে কারাদণ্ড কিংবা জরিমানার বিধান করা হবে।
বলা হয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের মানবাধিকার সংস্কারের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনসহ প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
মানবাধিকারের সবচেয়ে বাজে রেকর্ড সৌদির বলে দাবি করেছেন সমালোচকেরা।
দেশটিতে সর্বশেষ চাবুক মারার ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয় ২০১৫ সালে। তখন ব্লগার রাফি বাদাওয়িকে প্রকাশ্যে চাবুক মারার ঘটনা ঘটেছিল।
ইসলাম অবমাননা ও সাইবার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে এক হাজার বার চাবুক মারার সাজা ঘোষণা হয়েছিল।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ ও তার মৃতপ্রায় অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সেই সাজার আংশিক মওকুফ করা হয়েছিল।
এসব ঘটনা সৌদি আরবের ভাবমর্যাদার জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্তিয়ান উসার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা