অনলাইন ডেস্ক
অথচ সাকিব, নাঈমের উইকেট হারানোর পর লিটন দাসকে সাথে নিয়ে সৌম্য কিছুক্ষণ ভালো সময় উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। এই দুজনের ৩১ রানের জুটি ভাঙে সৌম্য সরকারের বিদায়ে। তারপর উইন্ডিজের মিস ফিল্ডিং এবং লিটন-মুশফিকের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে জয়টাকে যখন মনে হচ্ছিল বেশ কাছে, তখনই স্কুপ করতে গিয়ে রবি রামপলের বলে বোল্ড হলেন মুশফিক। দলে টেকনিক্যালি সবচেয়ে ভালো ব্যাটারই যখন এমন ব্যাকরণ বিরোধী শট খেলতে গিয়ে আউট হন, তখন মাহমুদউল্লাহর বলা সেই পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে দক্ষতাকে প্রাধান্য দেয়ার বক্তব্যটি হয় প্রশ্নবিদ্ধ।
শেষে লিটন দাসের ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে বাউন্ডারি লাইনে সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার জেসন হোল্ডারের লাফিয়ে ধরা ক্যাচে, যেখানে অনায়াসে বল সীমানা পাড়ি দিচ্ছিল বাংলাদেশের জয় ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরির আশা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কোনোটিই হয়নি। আন্দ্রে রাসেলের শেষ ওভারে চারটি ডাবল এসেছে, এসেছে লেগ বাইয়ে ১ রান। কিন্তু যে বাউন্ডারির চাওয়া ছিল শেষ বল অবধি, সেই বাউন্ডারি না পেয়েই ম্যাচ হারের আক্ষেপে পুড়ছে এখন টাইগাররা।
অথচ উইন্ডিজ ইনিংসের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য। নিকোলাস পুরানের পাওয়ার হিটিংয়ে পোলার্ডের দল শেষ পর্যন্ত ১৪২ রান সংগ্রহ করলেও লিটন, মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ থেকে টাইগাররা ছিটকে পড়েনি কখনোই। তবুও পার্থক্য গড়ে দিলো একটা কৌশলী ইয়র্কার, একটি ডট বল, একটি বাউন্ডারির হাহাকার। মাহমুদউল্লাহর ২৪ বলে ৩১ রানের ইনিংসটিও তাই পারেনি ক্যাপ্টেনস নক হতে, পারেনি বাংলাদেশকে অতিকাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা