সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আর ওই ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় বাহিনী। ভারতের রাজনৈতিক দল ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া (ডব্লিউপিআই) এ দাবি করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ডব্লিউপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক সীমা মোহসিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ দাবি করেন।
সীমা জানান, ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পার্টির আরও দুই প্রতিনিধির সঙ্গে কাশ্মীর সফর করেন তিনি । ওই সফরেই এসব বিষয়ে জেনেছেন তারা। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একপাক্ষিকভাবে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরের জন্য সুরক্ষিত বিশেষ মর্যাদা রদের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপারে কাশ্মীরিদের বিশ্বাসে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এর আগে, শনিবার নয়াদিল্লি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউপিআই দলের প্রেসিডেন্ট ড. এসকিউআর ইলিয়াসও একই কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, নাগরিক সমাজ ও আন্দোলনের নেতাসহ অনেকেই রয়েছেন।
এর আগে, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রয়োজনে ৪ হাজার কাশ্মীরিকে আটক করার কথা স্বীকার করে ভারত সরকার। ওয়েলফেয়ার পার্টির প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের চেয়েও যে প্রক্রিয়ায় তা রদ করা হয়েছে তা নিয়ে মানুষজন বেশি ক্ষুব্ধ। গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেয় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে নাটকীয় কায়দায় অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বন্দি করা হয় সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় সশস্ত্র বাহিনী। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে গেলে তখন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের শাসকেরা বিশেষ শর্তে ভারতে যোগ দেন। সেই শর্তটিই ৩৭০ অনুচ্ছেদ আকারে সংবিধানে সংরক্ষিত ছিল। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করত। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা এবং ব্যবসা করার সুযোগটিও ছিল কেবল কাশ্মীরিদের জন্যই। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে কাশ্মীরিরা।
সূত্র : ডেইলি হান্ট
NB:This post is collected from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা