সিরাজগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সরকারি হিসেবে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতলে ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর বেসরকারি হাসপাতালে আরো ১৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে একজন রোগী সিরাজগঞ্জে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। বাকী সবাই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সিরাজগঞ্জে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
অন্যদিকে, সদর হাসপাতালে এনালাইজার মেশিন নষ্ট ও রিএজেন্ট না থাকায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণের চারটি টেস্টের মধ্যে এনএস-১ টেস্টটি বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালে বেড সংকট থাকায় অন্যান্য রোগীদের সাথে মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসক সংকট থাকায় অন্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক নিয়ে এনে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঝাঐল গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত জুয়েল জানান, আমি কখনো ঢাকা যায়নি। গতকাল থেকে হঠাৎ ব্যথা ও জ্বর শুরু হয়। পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি হই। পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জন রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে মোট ৩২ জন চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। এর মধ্যে মেডিসিন বিভাগে কোন কনসালটেন্ট চিকিৎসক নেই। একজন মাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসক রয়েছে। এ কারণে শহীদ এম. এনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেকে নিয়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও এনালাইজার মেশিনটি দীর্ঘদিন নষ্ট ছিল। গত ২৭ তারিখে মেশিনটি মেরামত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের চারটি টেস্টের মধ্যে এনএস-১ রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকায় এটি বাদে আইজিজি-আইজিএম, সিবিসি ও প্লাটিনেট টেস্ট সদর হাসপাতালেই করানো হচ্ছে। আর রোগীর চাপ থাকায় বেড সংকটের কারণে মেঝেতে অন্যান্য রোগীদের সাথে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলছেন, সরকারি-বেসরকারি মিলে জেলায় মোট ৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর যেহেতু জেলা থেকেও মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে তাই এডিস মশা বা লার্ভা আছে কিনা এবং কি পরিমাণে আছে সেটি শনাক্তের জন্য একটি টিম কাজ শুরু করেছে। তিনি বলছেন, মূলত ঢাকায় এ রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। জেলার একজন বাদে সব রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ জেলায় প্রবেশ করবে। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগী বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জনস্বার্থে এবারের ঈদ যদি ঢাকার মানুষ ঢাকায় করতো তাহলে ডেঙ্গু সারাদেশে বিস্তার করতো না। এমনকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
NB:This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা