বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে রাধানগর চরবাসীর বাড়িঘর। তারা আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদীর দুই কূল উপচে পানি চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে আসছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদীর পূর্ব তীরে নিউ সারিয়াকান্দি, বৈশাখী গ্রাম ডুবে গেছে। ভেসে গেছে রাধানগর চরের বসতবাড়ি। এসব এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে শিমুলবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম বলেন, প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরাঞ্চলে খেতের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বগুড়া পাউবো সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি চলছে।
NB:This post is copied from prothomalo.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা