পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর ৮১ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি মাত্র ৫৯ শতাংশ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনটি নিয়ে আজ রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদ ভবনে কমিটির এই বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে কমিটির সদস্যরা সংসদ অধিবেশন শেষে সরেজমিনে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের জাজিরা ও মাওয়ার সংযোগ সড়ক এবং সার্ভিস এরিয়া–২–এর নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৭১ ভাগ। আরও বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর উভয় পারে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৭টি গাছ লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি জাদুঘর স্থাপনের কাজ চলমান আছে। এই জাদুঘরে রাখার জন্য ২ হাজার ২৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মাঝে গত জুন পর্যন্ত ৬৪১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত সহায়তা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুনর্বাসন এলাকায় নির্মিত ২ হাজার ৬৯০টি প্লট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৯৭টি ভূমিহীন পরিবারকে বিনা মূল্যে প্লট দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন উড়ালসেতুর কাজ ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ শেষ হবে। এ–সংক্রান্ত অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়ালসেতুর ১৪৭টি স্প্যানে আই গার্ডার বসানো হয়েছে।
জানেত চাইলে কমিটির সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ, বিশেষ করে পদ্মা সেতু ও উড়ালসেতুর কাজ যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে।
NB:This post is copied from prothomalo.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা