সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির কংগ্রেসের চার ‘অ-শ্বেতাঙ্গ’ নারীকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য রাখেন। ট্রাম্প বলেছেন, যেখান থেকে এসেছেন, সেখানেই ফিরে যান। যদিও তাঁদের তিন জনেরই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। কেবলমাত্র একজন সোমালিয়া থেকে শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। এদিকে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেননি। ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের পরে সমালোচনার ঢেউ উঠলেও ফার্স্টলেডি কেন চুপ, উঠেছে সেই প্রশ্ন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর যখন শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেয়ার নীতি কার্যকর করার উদ্যোগ নেন। সে সময় সরব হতে দেখা গিয়েছিল মেলানিয়াকে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি মানতে পারছি না। এটা হৃদয়বিদারক। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি মেলানিয়ার মুখে।
ফার্স্টলেডি মেলানিয়ার জন্ম স্লোভেনিয়ায়। স্লোভেনিয়া একসময় যুগোস্লোভিয়ার অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয়। ওই সময়েই মেলানিয়া মডেলিংয়ের জন্য স্লোভেনিয়া ছেড়ে প্রথমে যান ইটালি এবং পরে ফ্রান্স। তিনি ১৯৯৬ সালে নিউ ইয়র্কে যান। সেখানেই ১৯৯৮ সালে ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ট্রাম্প তাঁকে বিয়ে করেন ২০০৫ সালে এবং পরের বছর সেই সূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ। নাগরিকত্ব-প্রশ্নে তিনি বরাবরই জানিয়ে এসেছেন, আইনি পথেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েছেন তিনি। মেলানিয়ার বাবা-মা-ও ‘চেন মাইগ্রেশন’-এর (পারিবারিক সূত্রে) সুবাদে মার্কিন নাগরিক। যদিও এখন ট্রাম্প নিজেই পরিবার-সূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার নীতির বড় সমালোচক।
নিউ ইয়র্কের আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ়, মিনেসোটার ইলহান ওমর (জন্ম সোমালিয়ায়), মিশিগানের রাশিদা তালিব এবং ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলিকে (নাম উল্লেখ না করে) দেশ ছাড়তে বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অনেকের মনেই প্রশ্ন, এবার কি নিজের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথাও ভুলে গিয়েছেন ট্রাম্প?
সূত্র : ডেইলি হান্ট
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা