চলতি বছর সৌদি আরবে রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সৌদি নাগরিক।
তারা সবাই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতিদ্বন্দ্বী। এর মধ্যে পাকিস্তান ও ইয়েমেনের নাগরিকও রয়েছেন। মূলত ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতেই তাদের হত্যা করেছেন যুবরাজ।
শূলে চড়ানো আর মাথা কাটার মতো মধ্যযুগীয় পন্থায় এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন শিশুও রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪২তম অধিবেশনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘ডেথ পেনাল্টি প্রজেক্ট’র উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশন শেষ হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। ‘ডেথ পেনাল্টি প্রজেক্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ও হার কমিয়ে আনতে যুবরাজ মোহাম্মদের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ জানিয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন যুবরাজ। এই মুহূর্তে সৌদির বিভিন্ন আদালতে তিন শিশুসহ ২৪ জন মৃত্যুদণ্ডের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত জুলাই মাসের শেষে আন্তর্জাতিক আদালতের আইনজীবী ব্যারনেস হেলেনা কেনেডি জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজের ৩৭ জন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তার দাবি, অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ড দেশের পূর্বপ্রান্তে কার্যকর করা হয়েছে। একই সুর শোনা গেছে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের সদস্য ব্যারোনেস জ্যানেট হুইটেকারের কণ্ঠে।
মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে এবং অভিযুক্তদের সুবিচার দিতে সৌদি আরবের ওপর চাপ দেয়ার জন্য তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আবেদন জানান।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা