১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণ বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
১৯৭৫ এর ২৬ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের বিচাররে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জারি করা হয় দায়মুক্তি অধ্যাদেশ। দীর্ঘ ২১ বছর পর ২৪ জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা করা হয়। পরবর্তিতে বাতিল করা হয় দায়মিুক্তি অধ্যাদেশ। শুরু হয় মামলার কার্যক্রম। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে নূর চৌধুরীসহ ১৫ জনেকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দায়রা জজ আদালত।
১৯৯৬ সালেই নূর চৌধুরী ও তার স্ত্রী ভ্রমণকারী মর্যাদা নিয়ে কানাডায় প্রবেশ করেন করেন। পরে তারা শরনার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করেন। ২০০২ সালে শরনার্থীর মর্যাদার আবেদন খারিজ করা হয়। ২০০৯ সালে প্রি রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট এর আবেদন করেন নূর চৌধুরী।
কানাডায় নূর চৌধুরীর অবস্থানের বিষয়ে তথ্য পেতে ২০১০ সাল থেকে দেশটির কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের হাই কমিশন জনস্বার্থে নূর চৌধুরীর অবস্থানের তথ্য চেয়ে অভিবাসন মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন। তবে, দুই দেশের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানে কোন চুক্তি না থাকায় দেশটি বাংলাদেশকে নূর চৌধুরীর অবস্থানের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন কানাডার আদালত।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরকে বলেন, এর ফলে নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলো।
তবে নূর চৌধুরী বিষয়ে তথ্য পেতে নতুন করে আবেদন করতে হবে না বলেও মনে করেন আইনমন্ত্রী।
NB:This post is collected from http://www.channel24bd.tv
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা