অপরাধের সাত বছর ৩মাস পর, দিল্লির তিহাড় জেলে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টায় ফাঁসি হল দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের চার প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে।
যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হলো তারা হলেন- অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবনগুপ্ত (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিং (৩২)।
বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত ফাঁসি রদের জন্যে লড়াই চালিয়ে যায় নির্ভয়ার ধর্ষকরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও তাদের খালি হাতে ফেরায় সুপ্রিম কোর্ট। তিহাড় জেলে রাতে খাবার খায়নি পবন-মুকেশরা।
ভারতীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ভোর ৫.৩০-এ নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসি দিলেন মেরথের পবন জল্লাদ। ফাঁসির ৩০ মিনিট পর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
৪ অপরাধীর দেহ দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডঃ বি এন মিশ্রর নেতৃত্বে একটি ৫ সদস্যের চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্ত করবে। ময়নাতদন্তের পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফ করা হবে।
নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বাসচালক রাম সিং কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান। এছাড়া দোষী সাব্যস্ত আরেক ধর্ষক অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
২০১৫ সালে সাজার মেয়াদ শেষে এ তরুণ মুক্তি পাওয়ার পর আবারও ভারতে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে দেশটির ধর্ষণের সাজার আইন পরিবর্তন করে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ হিসেবে বিবেচনা করার বিধান করা হয়।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর দিল্লির একটি হলে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাসে ফিরছিলেন প্যারামেডিকেলের ওই ছাত্রী। ওই বাসে যাত্রী কম ছিল।
একপর্যায়ে বাসচালক-সহকারীসহ অন্তত ৬ জন মিলে নির্ভয়ার বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের দিকে ফেলে রেখে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে দুজনকে দিল্লির একটি সড়কের পাশে বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়।
গুরুতর আহত প্যারামেডিকেলের ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠায় দেশটির সরকার। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৬ ডিসেম্বর মারা যায় সে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়।
নির্ভয়ার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা