অনলাইন ডেস্ক
বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশিদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেছেন তিনি। ফারুক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘‘আমি এসব ঘটনার বিরুদ্ধে এবং আমি তার (সাইফ আলি খান) মঙ্গল কামনা করি।’’
ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেন, ‘‘যদি কেউ এসে সাইফ আলি খানের ওপর আক্রমণ করেন, সেক্ষেত্রে আপনি একজন ব্যক্তির কাজের জন্য পুরো একটি জাতিকে দোষারোপ করতে পারেন না। আপনি কীভাবে একজন ব্যক্তির সঙ্গে একটি জাতিকে এক করে ফেলতে পারেন!’’
তিনি বলেন, ভারতে যেমন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আছেন, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভারতীয়রা আছেন। আমরা এক ব্যক্তির কাজের জন্য তার দেশের সব মানুষকে দায়ী করতে পারি না।
এদিকে, হামলার পাঁচদিন পর চিকিৎসা শেষে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলিউডের অভিনেতা সাইফ আলি খান। হাসপাতাল থেকে তার বাড়ি ফেরার সময় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় হাসিমুখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে।
মুম্বাই পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নাম পাল্টে বিজয় দাস রাখেন শরিফুল। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে তার গতিবিধি সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় সাত মাস আগে ডাউকি নদী পেরিয়ে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে যে সিম কার্ডটি ব্যবহার করছিলেন তা পশ্চিমবঙ্গের খুকুমনি জাহাঙ্গীর শেখ নামে নিবন্ধিত। সিম কার্ড নেওয়ার জন্য শরিফুল পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা খুকুমনি জাহাঙ্গীর শেখের আধার কার্ড ব্যবহার করেছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তিনি বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং চাকরির সন্ধানে ভারতে এসেছেন। ভারতে প্রবেশের জন্য তিনি মেঘালয়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত ডাউকি নদী পাড়ি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। সেখানে বিজয় দাস নামে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে কয়েক সপ্তাহ কাটানোর পর চাকরির সন্ধানে মুম্বাইয়ে যান তিনি। পরে কোনও কাগজপত্র জমা না দিয়েই কাজ করতে পারবেন, এমন চাকরির খোঁজ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এই নাগরিককে থানে এবং ওরলি এলাকায় হোটেল ও গৃহস্থালির কাজ পেতে সহায়তা করেছিলেন অমিত পান্ডে নামের স্থানীয় এক ঠিকাদার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সাইফের এই হামলাকারী বলেছিলেন, তিনি কলকাতার বাসিন্দা।
তবে তার কল রেকর্ড পরীক্ষা করার সময় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কয়েকটি নম্বরে কল করার তথ্য পেয়েছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার অ্যাপ ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
পরে মুম্বাই পুলিশ অভিযুক্ত এই বাংলাদেশির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় তার ভাই ফোনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তাকে শরিফুলের স্কুল সার্টিফিকেট পাঠাতে বলা হয়। পুলিশের কাছে শরিফুলের এক ভাই তার সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দেন। এই সার্টিফিকেটে তিনি যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক তা নিশ্চিত হয় বলে জানিয়েছেন মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা