পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি এবং বুরকিনা ফাসো তাদের দেশের জিহাদীদের প্রতিহত করতে কঠিন সময় পার করছে। সম্প্রতি বুরকিনা ফাসােতে জিহাদীদের হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, মালিতে গত শুক্রবারের হামলায় ৪৯ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহীম বোবাকার কেইটা তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। খবর এএফপি’র।
দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের যে পরিস্থিতি এতে করে, সামরিক বাহিনীকে সুগঠিত করে জিহাদীদের প্রতিহত করতে আরো সময় লাগবে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী একটি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে হামলায় কমপক্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এ বছরে উত্তরাঞ্চলে এটি হচ্ছে সর্বশেষ ভয়াবহ হামলার ঘটনা। দেশটি জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর এ যুদ্ধে শত শত লোক প্রাণ হারিয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র এএফপি’কে বলেছে, অস্ত্রধারী অনেক লোক সোমবার ভোরে আওয়ারসিতে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়।
‘কয়েক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর হামলাকারীরা এ নিরাপত্তা ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। এ হামলায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পাঁচ পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি।’
অপর এক সূত্র জানায়, এ হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তারা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতো।
উদালান প্রদেশের ওই ফাঁড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হামলায় ফাঁড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৪ সালে পাঁচ দেশ জিহাদীদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে জি ফাইভ সাহেল, তৈরি করে। বুরকিনা ফাসো, মালি, মৌরিশাস, নাইজার এবং চাঁদ জি ফাইভ এর সদস্য।