আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এইডস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে ১ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
প্রতিবারের মতো বাংলাদেশেও এবার দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন; জনগণের অংশগ্রহণ’।
ইউএন এইডস-এর তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্য্যুবরণ করেছে।
UNAIDS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১ হাজারের কিছু বেশি। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এইডস/এইচআইভিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ হাজার ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এইচআইভি কেস সনাক্ত হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশে ৩৩৮ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়।
আর ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এ রোগ প্রকাশ পায় এবং একই বছরে দেশটির লস অ্যাঞ্জেলস রাজ্যের পাঁচ সমকামী এই রোগে আক্রান্ত হন। এক গবেষণায় জানা গেছে, সমকামীদের মধ্যে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের ৬ ধাপ উন্নতি
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে এইচআইভি সংক্রমণের হার কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নীচে। এ হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং এইডস আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ১০টি সরকারি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এইডসের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি আরো সম্প্রসারিত হবে। আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস রোগ নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এইডস একটি ভয়ানক সংক্রামক রোগ। এইচআইভি নামক ভাইরাস রক্তে প্রবেশ করলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এইচআইভি জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করার পর এইডস রোগ দেখা দেয়। এইচআইভির জীবাণু বহনকারী ব্যক্তির এইডস হতে ৮ মাস থেকে ১০ বছর সময় লাগে।
এটি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের জন্য উদ্বেগজনক। জানা যায়, প্রতি ১০ সেকেন্ডে ২৫ বছরের কমবয়সী একজন তরুণ বা তরুণী এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।
Log in our Facebook Page:
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা