অনলাইন ডেস্ক
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করছি। এতে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। দেশের ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের দুই পাশে সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮ বিভাগের ২৫ জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগির এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী এবং তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
২০২৬ সালের মধ্যে কমলাপুর-বিমানবন্দর হয়ে পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ২১ স্টেশনবিশিষ্ট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী-দাসেরকান্দি পর্যন্ত ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে। এ ছাড়া গাবতলী-কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ এবং গোলাপশাহ মাজার-সদরঘাট রুটে উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন ও ৭৩২ রেলসেতু নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে ৩০ বছরমেয়াদি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় রেল খাত উন্নয়নে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমদানি-রপ্তানির ৯৫ শতাংশ সমুদ্রবন্দরগুলোর মাধ্যমে হয়। এ ছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে স্থল ও নৌ বন্দরগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পায়রা বন্দরকে একটি বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে মৃত বা মৃতপ্রায় নদী ড্রেজিং করে প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমান যোগাযোগ খাতে বিভিন্ন উন্নয়নের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা