অনলাইন ডেস্ক
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
এদিকে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার জানান, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে এ কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। ফলে শনিবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশের সঙ্গে বরিশাল বিভাগের সব ধরনের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতির মূল চাওয়া হলো যৌক্তিক দাবিগুলো মানা হোক। তবে এখন পর্যন্ত সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো: ১.নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিসবুক প্রদানসহ সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ ২.খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা ৩.দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা ৪.চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা ৫.বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল ৬.নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ ৭. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ ৮. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা ৯. চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল করা ১০. নৌপরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা