টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতগুলোতে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ। মাঠে-মাঠে রোপা আমন মৌসুম দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে উজ্জ্বল হাসি।
বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন এবং প্রতি বিঘায় অতন্ত ১৫ থেকে ১৭ মণ ধান উৎপাদন হবে এমন আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এ সময় কৃষক ও দিন মজুররা দলবদ্ধভাবে জমিতে ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ধনবাড়ী উপজেলার কয়ড়া গ্রামের কৃষক আজহারুল ইসলাম জানান, এ বছর আট বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। চাতুটিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গতবারের তুলনায় আমি এবার আশানুরুপ ভালো ফলন পাচ্ছি। তবে নিচু জমিগুলেতে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্য পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা।
এদিকে বাজারে ধানের পর্যাপ্ত মূল্য না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, বাজারে বর্তমানে ধান ৬৩০ থেকে ৬৭০ টাকা দরে কেনাবেচা চলছে। ধানের মূল্য কমপক্ষে ১ হাজার টাকা যেন থাকে সে ব্যাপারে সারকারের সুদৃষ্টি কামানা করেছেন।
ধনবড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলা একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। উপজেলায় এবার কৃষক ১০ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। অধিকাংশ জমিতে কৃষক ধানি গোল্ড, তেজ, উপশি, হাইব্রিড-ব্রি- ১১, ৩৪, ৪৯, ৫১, ৭১, ৭৫, ৮৭ ও বিনা-১৭ এবং স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধান রোপণ করেছেন। অনেক জমিতে পোলাওয়ের ধান হিসেবে পরিচিত সুগন্ধি খিরসাপাত ও কালিজিরা ধান চাষ করছেন। সুগন্ধি ধানের বাজার মূল্য সব সময় বেশি। বর্তমানে মাঠে-মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে।
ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহবুবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১০ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল এবার অর্জন করতে পারবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোন ক্ষতি হয়নি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য ৭ একর জমিতে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করে উপজেলার ৪২০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ছবি : দেলোয়ার হোসেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা