অনলাইন ডেস্ক
হৃদয়বিদারক ওই ঘটনার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিহতদের স্মরণে দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ, শোক মিছিল, পুষ্পস্তবক অর্পণ।
জগন্নাথ হলের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা স্মরণে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ২০১৪ সালে ‘স্মৃতি অক্টোবর’ স্মারক স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে চুন, সুরকি, লোহার রডের বিম দিয়ে তৈরি এ ভবন ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঘটনার দিন সারাদিন ধরেই ছিল টিপটিপ বৃষ্টি। এ জন্যই পলেস্তারা নরম হয়ে ধসে পড়ে ছাদটি। প্রাণ হারায় ৪০ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ হল এই স্থানে ১৯৪৭ সালে এখানেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসতো। এ ভবনটি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ছাত্রদের আবাসিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জগন্নাথ হলের সঙ্গে যুক্ত করেন। একাত্তরের শহীদ আবাসিক শিক্ষক অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের নামে এ পরিষদ ভবন বা অ্যাসেম্বলি হলের নামকরণ করা হয় ‘অনুদ্বৈপায়ন ভবন’। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো এই ভবনটিকে আগেই বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা