অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে স্মারক ও শেষ বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদকে কার্যকর করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পু, প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদুত, গণমাধ্যম প্রধানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, জাতির বীর, সাহসী সূর্যসন্তানেরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব এই দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমি আজ দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আসুন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে সংঘাত-সংঘর্ষ ও যেকোনো উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হতে দূরে থেকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হই। গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে এমন কোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আজ সুরক্ষিত। বর্তমানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো গোষ্ঠী বা অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ নেই। আইনের প্রয়োগ জরুরি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নকে টিকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের জনগণের উন্নয়ন ঘটে না, সেই উন্নয়ন হয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা না হলে দেশ এতদিনে অনেক এগিয়ে যেত। তাই আমাদের কর্তব্য হবে দেশকে তার আদর্শের সোনার বাংলায় রূপ দেয়া।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা