দুই সিটি কর্পােরেশনের নির্বাচনের কারণে আজ ছিল ঢাকায় সাধারণ ছুটি। মানিকমিয়া এভিনিউ বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে। ছবি : লাইলী বেগম।
দিনভর নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুই সিটি কর্পােরেশনের ভোট গ্রহণ। শুরু হয়েছে গণণা। সারাদিন ভোটের ভোট কেন্দ্রে যাবার পাশাপাশি ছিল বিরোধীদলের প্রার্থীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ইভিএম বিভ্রাট, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ নানা ঘটনা। প্রথমবারের মতো এরপর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সম্পন্ন এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার পালা।
শনিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে বিকাল ৪ টায়।
এবার ঢাকার দুই সিটিতে প্রথমবারের মতো ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রের ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪৫৯ জন নারী ভোটার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার হচ্ছে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। আর ডিএসসিসিতে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন ভোটার রয়েছেন; যাদের মধ্যে নারী ভোটার ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন।
ইভিএমের ভোটের কারণে বিপদে পড়েন অনেকেই। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাও রয়েছেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে আইডি কার্র্ডের মাধ্যমেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইভিএম-এ আঙুলের ছাপ মেলেনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরও। আর ইভিএম’র ওপর আস্থা কম থাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
অন্যদিকে ইভিএম নিয়ে আগে থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছিল বিএনপি। এ বিষয়ে ভোট দেওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ইভিএমর প্রতি আমাদের আস্থা নেই। ইভিএমে প্রোগ্রামে ত্রুটিযুক্ত হতে পারে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা