সারা দেশে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখতে সারাদেশের ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিকদের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতসহ ৯ দফা দাবিতে তাদের এ কর্মসূচি। দাবি মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব তাজুল ইসলামসহ মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত মাসে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-র ধারা ১ এর উপ-ধারা (২) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর আইন কার্যকরের দিন ধার্য করে। গত বছরের ৮ অক্টোবরে আইনটির গেজেট জারি করা হলেও তার কার্যকারিতা ঝুলে থাকায় এ নিয়ে আদালতে রিট আবেদনও হয়।
সড়ক নিরাপত্তা: নতুন আইন প্রয়োগ হচ্ছে কি?
এই আইন অনুযায়ী, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে এ সংক্রান্ত অপরাধ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর এ সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তবে দণ্ডবিধির ৩০৪-বি ধারাতে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইনের ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮) প্রযোজ্য হবে।
আইনটি প্রণয়নের পর থেকে এর প্রবল বিরোধিতা করে আসছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাঁদের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনার মামলায় নতুন আইনে শাস্তির মাত্রা অনেক বেশি।
একই দাবিতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ১১ জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা