অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া তিনজন হলেন- সাব্বির আহম্মেদ ওরফে বামসি ব্যারেক ওরফে মেজর খালিদ, রবিউল ইসলাম ওরফে ওসমান এবং নাঈম মিয়া।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিদর্শক গোলাম মর্তুজা পল্লবী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের আরও দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিস্ফোরক জাতীয় গুঁড়া পদার্থ, বিস্ফোরক পদার্থ ও বোমা তৈরির প্রিন্টেড নথি ইত্যাদি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঢাকা শহরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার উদ্দেশ্যে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিল। আরও জানায়, সাব্বির আহম্মেদ বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং সামরিক শাখা ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি তার গ্রেফতার সহযোগী ও পলাতক আসামিদের নিয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রামসহ ঢাকা শহরে দীর্ঘদিন সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দাওয়াতি কার্যক্রম পালন করে আসছিলেন। রবিউল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনে সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম করে আসছেন এবং নাইম মিয়া এবছর উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন বলে জানা যায়।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং তাদের কাছে থাকা আরও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের চারদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা