অনলাইন ডেস্ক
৪ ম্যাচে ২ জয়, ১ হার ও ১ ড্র; বেনফিকার সাথে জয় পেলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবে বার্সেলোনার। এ রকম সমীকরণ নিয়ে ন্যু ক্যাম্পে খেলতে নেমেছিল বার্সা। জাভি হার্নান্দেজের জন্য এটাই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার ডাগ আউটে প্রথম ম্যাচ। রোনাল্ড কোম্যান পরবর্তী নতুন সময়ে জাভির অধীনে নতুন কিছু আশার সঞ্চার করতে পেরেছে বার্সার তরুণ খেলোয়াড়েরা; তবে জয়টা রয়ে গেছে অধরাই। তবে এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়েও খুশি হতে পারে বার্সা। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে বেনফিকার সুইস স্ট্রাইকার হারিস সেফারোভিচ যে মিসটা করেছেন, সেটাকে পুরো ইউরোপিয়ান সিজনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য মিস বললেও অত্যুক্তি হবে না।
ইউরোপ সেরাদের মঞ্চে মেসি পরবর্তী বার্সেলোনার সবচেয়ে কঠিন ব্যাপারটাই হচ্ছে গোল পাওয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ৪ ম্যাচে কাতালানরা করেছে মাত্র ২ গোল। জাভি এসেই যে জাদু দেখিয়ে দেবেন সেটা কেউ আশা করছে না। বলের দখল রাখা বা বল হারালে দ্রুত প্রেসিংয়ে মাঝমাঠেই তা আবার উদ্ধার করা, গাভি-নিকো গঞ্জালেসরা খেলেছেন ভালো। তবে এই দলে দরকার ছিল একজন ব্যবধান গড়ে দেয়া খেলোয়াড়ের, যা বিগত ১৫ বছরে বার্সেলোনার চেয়ে ভালো কেউ পায়নি। লিও মেসির শূন্যতা তাই ন্যু ক্যাম্পে প্রকট থেকে হচ্ছে প্রকটতর।
লা লিগায় জাভির খেলানো ৪-৩-৩ ফর্মেশন এই ম্যাচেই হয়েছিল ৩-৪-২-১। সেখানে তিন ডিফেন্ডারকে নিচে রেখে জর্ডি আলবা ও ইউসুফ ডেমির খেলেছেন উইংব্যাক হিসেবে। তবে ক্রস নির্ভর খেলায় সাফল্য পাননি জাভি। এ জন্য অবশ্য মেমফিস ডিপাইয়ে গিয়ে আক্রমণ নষ্ট হওয়া নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে বার্সা বসকে। উসমান ডেম্বেলেকে নামিয়ে ম্যাচে গতির সঞ্চার করেছিলেন জাভি। তবে ফাইনাল থার্ডের ব্যর্থতায় পরিষ্কার হয়ে যায়, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে কঠিন পরীক্ষাতেই বসতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা