বৃহস্পতিবার পুলিশের বিশেষ শাখার সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
যাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ফিরোজ আহমেদ ও সৈয়দ আফাজ হাসান উদ্দিন এবি ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক, আর বাকি আটজন সাবেক পরিচালক।
তারা হলেন- মো. আব্দুল আউয়াল, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন, শিশির রঞ্জন বোস, ফাহিমুল হক, মো. মেজবাহুল হক, জাকিয়া শাহরুড খান রুনা, মিশাল কবির ও বি বি সাহা রায়।
তারা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সবাই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশত্যাগে করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।”
এর আগে গত ১০ জুন এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
মোরশেদ খানের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিটিসেলের নামে অর্থ আত্মসাত: মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা
মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান এর চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খানও একজন পরিচালক। মোরশেদ খান এ বি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
সিটিসেলের নামে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন মোরশেদ খান, তার স্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলায় সিটিসেলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী ও ব্যাংকটির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী ও এম ফজলুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা সিটিসেলের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করার জন্য এবি ব্যাংক মহাখালী শাখায় আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই না করেই সিটিসেলের নামে কোনো জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করে এবি ব্যাংক। পরবর্তীতে এ ব্যাংক গ্যারান্টির ভিত্তিতে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সিটিসেলের ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় সুদসহ এ অর্থ দাঁড়ায় ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা।
দেশের সবচেয়ে পুরনো সেলফোন অপারেটর সিটিসেল লাইসেন্স পায় ১৯৮৯ সালে। সে সময় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (বিটিএল) নামে লাইসেন্স দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা কিনে সিটিসেল নামে কার্যক্রম শুরু করে। দেনার দায়ে ২০১৬ সালে সিটিসেল বন্ধ হয়ে যায়।
NB:This post is copied from bangla.bdnews24.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা