অনলাইন ডেস্ক
এ সম্পর্কে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে ১০০ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ সুরা নুর, আয়াত ২। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে ১০০ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)।’ মুসলিম।
ইসলামী আইনশাস্ত্রে ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম। জঘন্যতম অপরাধ। এ সম্পর্কে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ সুরা আল ইসরা, আয়াত ৩২।
ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কী হবে? সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস। হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে তিনি ধর্ষিতাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে হদ বলে) শাস্তি দেন।’ ইবনে মাজাহ।
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘একদা সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম গনিমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসীর সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে তার কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। তখন হজরত ওমর (রা.) ওই গোলামকে বেত্রাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে তাকে বেত্রাঘাত করেননি।’ বুখারি।
যদি কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হয় তাহলে তার সর্বপ্রথম করণীয় হলো সম্ভব হলে তা প্রতিরোধ করবে। এমনকি যদিও তা ধর্ষণকারীকে হত্যা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে তাতেও ইসলাম সায় দিয়েছে। এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ (রা.) এক নারীর ব্যাপারে বলেন, ‘যদি সে নারী জানতে পারে যে এ ব্যক্তি তাকে উপভোগ করতে চাচ্ছে আর আত্মরক্ষার্থে মেয়েটি তাকে মেরে ফেলে; তবে সেই নারীর ওপর কোনো দায় আসবে না।’ আল মুগনি।
এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত সাইদ ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, ‘আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে সে শহীদ। জীবন রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে সেও শহীদ। ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে সে শহীদ। আর সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয়েছে সেও শহীদ।’ আবু দাউদ, তিরমিজি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা