থ্রী হুইলার লাইসেন্সধারী ড্রাইভারদের জন্য ঢাকা মহানগরীতে ৫ হাজার এবং চট্টগ্রামে ৪ হাজার সি.এন.জি অটোরিকশা অবিলম্বে রাস্তায় নামানোর দাবি জানিয়েছে ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জেলা সি.এন.জি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ ।
পরিষদ বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানায়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন অটোরিকশার মালিকরা নির্ধািরিত হারের চেয়ে বেশি জমা রাখছে এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তারা গ্যারেজ ভাড়া-দারোয়ান ফি এর নামে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে এটি বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর করার পূর্বে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। ঢাকা মহানগরীর মধ্যে মিটারবিহীন, প্রাইভেট অটোরিকশা এবং পাশ্ববর্তী জেলার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা অটোরিকশা চলাচল অবিলম্বে বন্ধ; পাঠাও-উবার ইত্যাদি রাইড শেয়ারিং এ চলাচলরত গাড়ীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে। ঐসব গাড়ি-মটরসাইকেল চালকদের জন্য নির্দিষ্ট রঙের পোশাকের বিধান করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্কিং এর জন্য স্থান নির্ধারণ না করে নো-পার্কিং এর অজুহাতে কথায় কথায় নো-পার্কিং মামলা, রেকারিং, ডাম্পিং বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অটোরিকশা মালিকরা মামলা করে ড্রাইভারদের জন্য বরাদ্দকৃত অটোরিকশার অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আটকে রেখে অটোরিকশা শ্রমিকদের জিম্মি করে একচেটিয়া শোষণ-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সি.এন.জি অটোরিকশা মালিকরা অতিরিক্ত জমা আদায় অব্যাহত রাখার জন্য বৈধ সি.এন.জি অটোরিকশার সংখ্যা বৃদ্ধিকে পরিকল্পিতভাবে বাধাগ্রস্থ করার কারনেই প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ কমকর্তাদের সহায়তায় অনুমোদনহীন সি.এন.জি অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর করার পূর্বে অজামিনযোগ্য শাস্তির ধারা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সংশোধন করার আহবান জানিয়ে বলেন, অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ পরিবহন সেক্টরের স্পন্ধন গাড়ীচালকদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত না করে, সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে, পথচারিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি না করে শুধু গাড়ী চালকদের শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গআমার বিভিন্ন সময় স্মারকলিপি দিয়েছি কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম সি.এন.জি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ৮ দফা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে প্রয়োজনে ধর্মঘটসহ অন্যান্য কঠোর কর্মসূচির কথা আমরা বিবেচনা করতে বাধ্য হবো।
শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব হারুন-উর-রশিদ, যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক চৌধুরী, নজিমুদ্দিন রানা, যুগ্ম সদস্য সচিব কামাল আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব বুলবুল।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা