অনলাইন ডেস্ক
তবে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে বর্তমান উদ্বৃত্ত অর্থ রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে যে জুলাই ও আগস্টের মধ্যে শ্রমিকদের রেমিট্যান্স গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৭১ বিলিয়ন ডলার তুলনায় ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ৪.৮৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর অর্থ হলো অর্থনীতি সত্যিকার অর্থে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আমদানি-রফতানি পরিস্থিতি সম্পর্কে নিবিড় অধ্যয়ন আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে যে পাকিস্তানের অর্থনীতি আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে।
২০২০ অর্থবছরে পাকিস্তানের মোট রফতানি এখন পর্যন্ত ২২.৫৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে বস্ত্রের রফতানি: ১২.৭৮৩ মিলিয়ন ডলার, খাদ্য: ৪,৫৩৪ মিলিয়ন ডলার, রাসায়নিক ও ওষুধ পণ্য: ১,০৫৬ মিলিয়ন, চামড়া প্রস্তুতকারক: ৪৭৯ মিলিয়ন, ক্রীড়া সামগ্রী: ৪৫৮ মিলিয়ন ডলার এবং পেট্রোলিয়াম: ৩৬৯ মিলিয়ন।
এদিকে, একই সময়ের জন্য পাকিস্তানের মোট আমদানি আনুমানিক ৩৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হিসাবে ২০১৯ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল, ২০১৫ সাল থেকে ১৪% কমেছে এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩৭.৩% হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সহ যন্ত্রপাতি: ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (মোট আমদানির ১৩.৩%), বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম: ৪.৬ বিলিয়ন (১২%), আয়রন, ইস্পাত: ২.৩ বিলিয়ন (৬.১%), তেল সহ খনিজ জ্বালানী: ২.২ বিলিয়ন (৫.৯%), জৈব রাসায়নিক: ২ বিলিয়ন (৫.২ %), প্লাস্টিক, প্লাস্টিক নিবন্ধ: ১.৮ বিলিয়ন (৪.৭ %) এবং তুলা: ১.৭ বিলিয়ন (৪.৪%)।
পাকিস্তানের ডেবিট প্রতি মাসে ৪০-৪৫ বিলিয়ন রুপি দাঁড়িয়েছে ২৩০০ কোটি টাকা। এটি উদ্বেগজনক এবং যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পাকিস্তান এমন একটি অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হবে যেখান থেকে আইএমএফ বা তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক চিন তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা