অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহীনুর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চৌহালী উপজেলার খাস কাউলিয়া ইউনিয়নের জোতপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তির (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চৌহালীর আজিমুদ্দিন মোড় এলাকা থেকে ২ জন, স্থলচর ১ জন ও ঘুসুরিয়া ১ জনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চার জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন মানিকগঞ্জের সিংরাইল থানার গোবিনহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আলোক মিয়া (৩০)। এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোল্লাহ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থলচরে যমুনায় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় খাসকাউলিয়া আজিমুদ্দিন মোড় ও ঘুসুরিয়া থেকে আরো চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলিল সমাধি হয়েছে। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৫৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌছলে প্রচন্ড বাতাসের কবলে পড়ে। তখন ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত ও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৩ জনের মরদেহ স্থল চর, এক জনের জোতপাড়া ও আরেক জনের মরদেহ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলো বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছির শামীম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন (৪), শাহজাদপুরের কৈজুরীর জয়পুরার আমজাদ হোসেন (৪৫) ও আজিজুল হক (৩৫)।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছে, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকা ডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।
এদিকে প্রবল স্রোতে নিখোঁজ ব্যক্তি ও ডুবে যাওয়া নৌকা দূরে ভেসে গেছে ধারণা করে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয় বলে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মনজিল হক জানান।এর পর ঘটনার অনেক দুর থেকে বৃহস্পতিবার চারটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলা বাসী শোকাহত।
তিনি আরও জানান, দাফন কাফনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার টাকা সহ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলার ক্ষয়রাতি তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে চৌহালী ও বেলকুচির ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নৌকাডুবিতে সিরাজগঞ্জ জেলার বাইরের কেউ মারা গেলে সে জেলার জেলা প্রশাসকদের একই ধরনের উদ্দ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া আহতদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রযেছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা