অনলাইন ডেস্ক
সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। অনেকের কাছে তিনি আবার ফুটবল ঈশ্বর, সেরাদের সেরা। যত নামেই ডাকা হোক না কেন, তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত আর গোল বিশ্বসেরা ফুটবলারের বিতর্কে তাকে রেখেছে বেশ উঁচু স্থানে।
ম্যারাডোনার বেড়ে ওঠা আর্জেন্টিনার দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে। তিন কন্যা সন্তানের পর মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান তিনি। তার ছোট দুই ভাই হুগো এবং রাউলও পেশাদার ফুটবলার। মাত্র দুই দশকে ছয়টি ক্লাবে পেশাদার ফুটবল খেলেছেন ম্যারাডোনা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানান ক্লাবে। এর মধ্যে একক কৃতিত্বে নাপোলিকে শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে ইতিহাসের সফলতম পর্যায়েও নিয়ে যান তিনি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘হ্যান্ড অব গড’ ও শতাব্দীর সেরা গোল করেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। পরের আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এ কিংবদন্তি। পড়েন ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞায়। এরপর ম্যারাডোনাকে আর স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি।
২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩৪৬টি গোল করেছেন আর্জেন্টাইন এ মহাতারকা। ২০০৮ সালে মেসিদের কোচ ছিলেন তিনি। তার অধীনে অনেক চড়াই-উতরাই শেষে ২০১০ বিশ্বকাপে টিকিট কাটে আকাশি-নীল শিবির। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪ গোল হজম করে বিদায় নেয় মেসিরা। ২০২০ সালে বুয়েনস আইরেসের হাসপাতালের আইসোলেশনে নিজের ৬০তম জন্মদিন পালন করেন তিনি। তবে এক মাসের মধ্যেই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘এল দিয়াগো’। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা