টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনার প্রথম বছর পূর্ণ করছে আজ আওয়ামী লীগ। সরকারের বর্ষপূর্তিতে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরের প্রথমার্ধে রদ-বদল আনা হতে পারে মন্ত্রিসভায়। এ ক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চে এ রদ-বদল হতে পারে। নতুন করে মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন একাধিক মুখ।
বহুদিন থেকেই সরকার ও দল আলাদা করার প্রক্রিয়া নিয়ে গুঞ্জন চলছিল ক্ষমতাসীন দলটির ভেতরে। সর্বশেষ কাউন্সিলে বিষয়টি পরিষ্কার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদে রদ-বদল বিষয়ে কাউন্সিলেও আভাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সরকার ও দলের মধ্যে পৃথককরণের।
তবে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার ও দলের মধ্যে যোগসূত্র থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা বেশি। এসব বিবেচনায় শতভাগ পৃথক করবেন না। যদিও মন্ত্রিপরিষদের ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস করা হয়, তাহলে বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদে থাকা দুই থেকে চারজনকে পদোন্নিত দেয়া হতে পারে।
এছাড়া সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞদের নিয়ে আসার বিষয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে। অনেকের নামে আখের গোছানোর অভিযোগও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে।
তাদের বাদ দিয়ে দলের একনিষ্ঠ, পরীক্ষিত ও দীর্ঘদিনের ত্যাগীদের মন্ত্রিসভায় ডাক পড়তে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। গত বছর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কিছু বিষয় নিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়। যার ফলে সামলোচনার মধ্যে পড়তে হয় সরকারকে।
এদিকে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভায় যারা ভালো করবেন না, তাদের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হবে। মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস একটি রুটিনওয়ার্ক। নতুন বছরে এটা হতে পারে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের গত বছরের কাজের ফিরিস্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। যারা ইতোমধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন, তাদের হয়তো কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হবে। আর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দু-একজন উপমন্ত্রী থেকে প্রতিমন্ত্রী হবেন।
সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতে সাবেক দু-একজন মন্ত্রীকে পুনরায় মন্ত্রী করার বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক বিশ্নেষকদের একাংশ বলছেন, ২০১৮ সালের শেষে আকাশছোঁয়া জয় পাওয়ার পর বর্তমান সরকার প্রথম বছরেই উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি পূরণে বেশ কিছু সাফল্য দেখিয়েছে।
২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেন শেখ হাসিনা। পাঁচ মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় প্রথম পরিবর্তন আনা হয়।
ফলে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫ জনে। তবে প্রতিমন্ত্রী আগের মতোই ১৯ ও উপমন্ত্রী তিনজনই রয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৭ জন।
এবার মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস হয়ে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সর্বশেষ কথা— মন্ত্রিসভার রদ-বদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। তিনি এ বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ বলেও জানান তারা।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা