অনলাইন ডেস্ক
ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’র ‘বৈ’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’-এর ‘সা’ ও চাকমাদের ‘বিজু’র ‘বি’ নিয়ে বৈসাবি। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে আজ চাকমাদের ‘ফুল বিজু’র মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসবের সূচনা। ভোরে চাকমারা ফুল সংগ্রহ করে, সেই ফুল দিয়ে নদীতে উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দেশে পূজা করে। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন মূলত ‘বিজু’ উদযাপন করা হয়। নদীতে ফুল দিয়ে পূজা করাই বিজুর প্রধান আকর্ষণ। এ ছাড়া চৈত্রসংক্রান্তির দিন থেকে ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ উৎসব। ‘গরয়া নৃত্য’ হলো বৈসুর মূল আকর্ষণ। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয় বাংলা নববর্ষের দিন থেকে। মারমাদের জলকেলি (পানি) উৎসব সাংগ্রাইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
বৈসাবিতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরারা ফুল দিয়ে ঘর সাজাবে। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব হলেও আছে নানা ধর্মীয় আচারও। তাই ঘরে ঘরে পূজা-পার্বণ পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রা ও পাঁচ দিনব্যাপী মেলা হয়। এরপর রবিবার অনুষ্ঠিত হয় আরেকটি শোভাযাত্রা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় সাংগ্রাই জলোৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৈসাবি।
এদিকে, করোনার কারণে গত দুই বছর রাজধানীতে বৈসাবি উৎসব করা যায়নি। তবে এবার পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বৈসাবি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে। এরপর রমনা পার্কের জলে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শেষ হবে এটি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা