অনলাইন ডেস্ক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেনে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, হুট করে এভাবে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কোনো ধরনের বিধান নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন করতে হবে। কিভাবে কী হয়েছে সে বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, তিনি নাম পরিবর্তনের পক্ষে। এরই মধ্যে কাগজে-কলমে গ্রামের নাম গাংগীহাতার পরিবর্তে মোহাম্মদপুর হয়েছে। শুধু বিদ্যালয়ের নামটি গাংগীহাতা ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কে বা কারা বিদ্যালয় ভবনের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম লিখে দিয়েছে সেটি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি পরে শুনেছি। নাম পরিবর্তনের জন্য এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।’
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গাংগীহাতা গ্রাম যা পরিবর্তিত হয়ে মোহাম্মদপুর গ্রাম হয়েছে, সেখানে গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কাগজে-কলমে এ নামটি রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল যুবক ও গ্রামের কয়েকজন এসে চিত্রশিল্পী দিয়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের সামনের অংশে পুরনো নাম মুছে দিয়ে নতুন নাম লিখে দেন। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেই। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন। বিদ্যালয়ের ভেতরে সিমেন্ট দিয়ে এঁকে লেখা পুরনো নামটি এখনো রয়েছে।
বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট একজন জানান, নাম পরিবর্তনের জন্য গ্রামের লোকজন ছাত্রলীগ নেতা শোভনকে অবহিত করে। এর পরই পুরনো নাম মুছে দিয়ে নতুন নাম লেখা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই তিনি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন।
রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ খান বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে জেনে বলতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাম পরিবর্তন করতে আমার পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। নাম পরিবর্তনের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদেরকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের পুরনো নাম মুছে কে বা কারা নতুন না লিখে দেয়। তখন বিদ্যালয়ে কেউ ছিলেন না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শ্রুতিকটূ কিছু নাম পরিবর্তন হয়েছে। নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। তবে এ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কোনো অনুমতি নেই। এভাবে নাম পরিবর্তন করা যায় না। বিষয়টি জানার পর প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া নাম পরিবর্তন করা যায় না। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের দেওয়া লিখিতটি পেয়েছি। ২ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিতে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের লিখিতটি পাঠিয়ে বিষয়টি মহাপরিচালক মহোদয়কেও জানানো হয়।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা