অনলাইন ডেস্ক
এ সময় তারা অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। মন্ত্রীর বাসা থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে সরাসরি খিলগাঁওয়ের মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় চলে যান বাবুনগরী। কী কারণে বৈঠক হলো তা নিয়ে কথা বলেননি হেফাজতের কোনো নেতাই।
তবে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সমকালকে বলেছেন,লকডাউনে বন্ধ থাকা মাদ্রাসা খুলে দিতে এবং মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেপ্তার না করতে সরকারে অনুরোধ করেছেন হেফাজত আমির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাবুনগরীকে বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আর নির্দোষ কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। সোমবার রাত ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এরপর বারডেম হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে জানতে বারবার চেষ্টা করেও হেফাজতের মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার জনসংযোগ সচিবও এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে হেফাজত সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, তিনটি দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান জুনায়েদ বাবুনগরী। সেগুলো হলো- লকডাউনে বন্ধ থাকা মাদ্রাসা খুলে দেওয়া। হেফাজতের কর্মসূচিতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি। মাদ্রাসাগুলোকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে গত ২১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে। ২০১৮ সালের আইনে পরিচালিত কওমি মাদ্রাসার নিবন্ধনের বিরোধী হেফাজত। এ দাবিও মন্ত্রীকে জানাবেন হেফাজত আমির।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দেশজুড়ে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ৫০ নেতাকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে সহিংসতার একাধিক মামলায় রিমান্ডেও নেয়া হয়।
গ্রেপ্তার থামাতে এর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে সাক্ষাৎ করে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু ধরপাকড় থামছে না। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিজেই দেখা করতে এলেন বাবুনগরী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা