অনলাইন ডেস্ক
এবার মাসাধিককাল অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত বিষয়ে জড়িয়ে পড়ছেন কিম জং উন। কিম সম্পর্কে অবশ্য বিতর্ক কোনও দিনই কম নয়।
আবার রহস্যের আরেক নাম কিম জং উন বললেও ভুল হবে না। উত্তর কোরিয়ার সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এবার ফের এক নির্দেশ নিয়ে হই-চই পড়ে গিয়েছে। কিশোর-কিশোরীদের যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন কিম।
শুধু তাই নয়, কৈশোরকালে যৌনতা দেশদ্রোহীতার মতো অপরাধ বলেই মনে করছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে উত্তর কোরিয়ায় যৌনতাকে আইনত নিষিদ্ধ বলেই গণ্য করা হয়।
কিন্তু, আইনকে ফাঁকি দিয়ে সেই দেশের একাধিক প্রান্তের হাইস্কুলের পড়ুয়ারা যৌনতায় মত্ত হয়ে উঠেছিল। আর সেই খবর কানে পৌঁছতেই বেজায় চটে গিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম।
নাবালকদের এমন যৌনচারের জন্য রাষ্ট্রনেতা কিম ‘পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদ’কেই দায়ী করেছেন। তাই এবার নিজের ‘সাম্রাজ্যে’ কিশোর-কিশোরীদের যৌনতায় ইতি টানতেই কড়া শাসন জারি করেছেন।
আরও স্পষ্ট করে বললে, পুরনো আইনকেই নতুন মোড়কে আরও কঠোর ভাবে পেশ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।
শুধু তাই নয়, স্কুল পড়ুয়াদের উপর নজরদারি করার জন্য ‘রেড ফ্ল্যাগ’ নামে বিশেষ এক অ্যাপও আনা হয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকারের উদ্যোগে।
আর প্রত্যেকটি স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেই এই অ্যাপ বাধ্যতামূবক করে দেওয়া হয়েছে। এক প্রকার প্রায় জোর করেই পড়ুয়াদের ফোন বা ল্যাপটপে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ অ্যাপ ইনস্টল করার নির্দেশ দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার স্কুলগুলি।
কেন ‘রেড ফ্ল্যাগ’ অ্যাপ? পর্ন জাতীয় কোনও সাইটে গেলেই, সেই ইউজারের তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে সরকারি সাইটে। এবং স্ক্রিনশটও উঠে আসবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
এমনকী, যে স্কুলের পড়ুয়ারা ধরা পড়বে, সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা