অনলাইন ডেস্ক
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
গত মঙ্গলবার উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বার্ষিক এই সম্মেলনে সাধারণত সৌদির বাদশাহ সালমান নেতৃত্ব দিতেন। সম্মেলনে আগত বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর কাজটিও তিনিই করতেন। তবে এবার ব্যতিক্রম ছিল। এছাড়া যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সৌদি বাদশাহ এখন আর খুব একটা প্রকাশ্যে আসেন না। ৩৬ বছর বয়সী যুবরাজই এখন বাবার পক্ষে সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলাচ্ছেন। আর তাতে তিনিই সৌদির শীর্ষ নেতার পদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বাদশাহ সালমানের সর্বশেষ বৈঠক ছিল ২০২০ সালের মার্চে। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে সৌদি বাদশাহর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রিয়াদে। আর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ওমানের সুলতান কাবুসের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে সর্বশেষ দেশের বাইরে গিয়েছিলেন।
সৌদি যুবরাজ দেশটিতে সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্কার আনছেন। নারীদের গাড়ি চালানো ও সরকারি চাকরি করার অনুমতি দিয়েছেন। বিনোদনের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিনোদনকেন্দ্র চালু করেছেন। আর এসবের মধ্য দিয়ে নিজেকে উদারপন্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরব গালফ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিন ডিওয়ান মনে করেন, বাদশাহ সালমানের দীর্ঘজীবিতা থেকে সুবিধা পাচ্ছেন যুবরাজ। যুবরাজ যেসব তারুণ্যদীপ্ত ও অপ্রচলিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সেগুলো কোথাও বাধা পাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ বিন সালমান তার বাবার চেয়ে অনেক বেশি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। তিনি সৌদির আকাশসীমা দিয়ে ইসরায়েলি উড়োজাহাজ চলাচলের অনুমতিও দিয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা