অনলাইন ডেস্ক
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (২৫ জানুয়ারি) চুক্তি অনুযায়ী আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। আগের উপহারের ২০ লাখসহ এই ৭০ লাখ ভ্যাকসিন রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ভ্যাকসিন নিতে কাউকে জোর করা হবে না বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের দেওয়া অক্সফোর্ডের-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ভারত ও ইউকেতে পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে যেকোনও ভ্যাকসিন প্রয়োগে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।
তিনি জানান, করোনার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য মেডিক্যাল টিম টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুতরাং সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেবার কোন কারণ নেই। তবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগে সরকার কাউকে বল প্রয়োগ করবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেরাম থেকে অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন দেশে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা