অনলাইন ডেস্ক
কে এম নূরুল হুদা বলেন, শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে মাঠে নামার ঘোষণা দিলেও তিনি নামেননি। এতে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়েছে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। নাসিক নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকেই আলোচনায় আছেন সরকারি দলের এই এমপি। শামীম ওসমান ও আইভী দু’জনেই আওয়ামী লীগের নেতা হলেও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে পরস্পরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বও পাঁচ দশকের পুরোনো। আসন্ন নাসিক নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নামলেও প্রার্থী আইভীর অভিযোগ, তার বিপক্ষে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রার্থী করেছে ‘গডফাদার’ শামীম ওসমানের পরিবার।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন জানিয়ে সোমবার শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ৫৬ মিনিটের ওই সংবাদ সম্মেলনে একবারও নৌকার প্রার্থী আইভীর নাম উচ্চারণ না করে শামীম ওসমান বলেন, প্রার্থী কলাগাছ, না আমগাছ- দেখার বিষয় না। বঙ্গবন্ধুর নৌকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আইভী যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান- সেই দাবিই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। দাবি পূরণ না হলেও দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন বলে দাবি তার। তবে তার আগেই সোমবার সকালে আইভী বলে দেন, কারো সমর্থন প্রয়োজন নেই তার।
দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করলে জীবনে নৌকা পাবেন না- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এ হুঁশিয়ারির তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জে আসেন শামীম ওসমান। এ খবরে তার কয়েক হাজার অনুসারী চাষাঢ়ার বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান নিয়ে শোডাউন করেন। এতোদিন যে নেতাকর্মীদের আইভীর ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি, তারাও ছিলেন শামীমের সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে ও মিলনায়তনে। যদিও সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান জানিয়েছিলেন, আইনপ্রণেতা হয়েও এই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা