অনলাইন ডেস্ক
তবে সারা দিন রোজা রাখার পর খাবার নির্বাচন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। যেমন—দ্রুত হজম হয় এমন খাবারের পরিবর্তে বেছে নেওয়া দরকার এমন খাবার, যা হজম হতে বেশি সময় লাগে। অর্থাৎ এমন সব খাবার গ্রহণ করা যা হজম হতে প্রায় ৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করাটা প্রত্যেকের জন্য জরুরি। এ ছাড়া রমজানে সুস্থতা নিশ্চিত করতে ইফতারের ২ ঘন্টা পর ১৫-২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা ভালো। বিজ্ঞাপন
এবারে জেনে নেওয়া যাক, রমজানে কোন বেলায় কী খাবেন।
সাহরির খাবার: সাহরির সময় হচ্ছে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। তাই এটি যেন কোনোভাবেই বাদ না-পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদিও সারা দিনের ক্ষুধা সাহরির মাধ্যমে নিবারণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা যদি খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখি তাহলে অনায়াসেই ক্ষুধা বিলম্বিত করতে পারি। সাহরির খাবার নির্বাচনে নজর দিতে হবে আমিষ, জটিল শর্করা ও খাদ্যআঁশের প্রতি। সাহরিতে খাওয়া ভালো এমন খাদ্যের মধ্যে রয়েছে—লাল চালের ভাত এক থেকে দেড় কাপ, মিক্সড সবজি ১ কাপ, মাছ অথবা মুরগি ১ টুকরো, ডাল এক কাপ সঙ্গে দই অথবা ননিবিহীন দুধ ১ কাপ।
স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার: সারা দিন রোজা রাখার পর স্বাভাবিকভাবেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। সে জন্য ইফতারের শুরুতে খাওয়া দরকার এমন শর্করাজাতীয় খাবার যা কিছুটা দ্রুত হজম হয়। এ ছাড়া আমাদের পরিপাকতন্ত্রের দীর্ঘক্ষণ খাবারবিহীন অবস্থায় থাকার কারণে একে খাদ্য পরিপাকের জন্য প্রস্তুত করতে প্রয়োজন হয় যেকোনো হালকা গরম তরল খাবার। সেই সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির।
রোজার মাসে রাতের খাবার কিছুটা হালকা হলে ভালো। খাবারে সব রকমের ফুড গ্রুপ থেকে কিছুটা রাখা দরকার। রাতের খাবারে ভাত ১ কাপ, মাছ অথবা মুরগি ১ টুকরো, সবজি ১ কাপ ও সালাদ ১ বাটি।
ইফতারের সময়ের খাবারকে দুভাগে ভাগ করে খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। প্রথম ভাগ মাগরিবের নামাজের আগে, আর দ্বিতীয় ভাগ নামাজের পর। একসঙ্গে অধিক খাওয়া শরীরের নানাবিধ জটিলতা তৈরি করাসহ শরীরকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। ইফতারে খাওয়া ভালো হচ্ছে—খেজুর ৩–৪টা, হালকা গরম ভেজিটেবল অথবা চিকেন স্যুপ ১ বাটি, ছোলা সেদ্ধ আধ বাটি, যেকোনো ফলের জুস ১ গ্লাস। মাগরিবের নামাজের পর পায়েস/দই চিঁড়া অথবা ওটস ১ বাটি, কলা অথবা আপেল ১টি।
রাতের খাবার: রোজার মাসে রাতের খাবার কিছুটা হালকা হলে ভালো। খাবারে সব রকমের ফুড গ্রুপ থেকে কিছুটা রাখা দরকার। রাতের খাবারে ভাত ১ কাপ, মাছ অথবা মুরগি ১ টুকরো, সবজি ১ কাপ ও সালাদ ১ বাটি। এ রুটিন মেনে চললে শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা