সিনিয়র প্রতিবেদক
যে অমিত সাহার রুমে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে তাকে সবুজবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম ।
জানা গেছে, অমিত সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। যদি আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোন জড়িত থাকার কথা জানা যায় তাহলে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানাে হবে।
প্রথমে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অমিত সাহা জড়িত ছিল না এমনটি উল্লেখ করে তার ক্লাসমেট বন্ধুরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। পরে, অমিতের দেয়া একটি ফেসবুক ম্যাসেজ তার বন্ধুদের নজরে এলে তারা তাদের আগের স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
অমিতের বন্ধুরা এক পোস্টে লিখেন, আবরারের হত্যাকাণ্ডের পর অমিত ঘটনার সময় নিজের অনুপস্থিতি ও ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার কথা আমাদের জানায়। তখন সে আবির সাহার বাসায় ছিল, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অমিতের পক্ষে গ্রুপে কিছু স্টেটমেন্ট দেই, যা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে (সে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিল)।
তারা লিখেছেন, ঘটনার সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ সম্পৃক্ততা আমাদের পক্ষে বের করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে বের হয়ে আসা তথ্যে আর সবার মতো আমরাও তার সম্পৃক্ততা নিয়ে আর সন্দিহান নই। যার প্রেক্ষিতে এই কেসে তার পক্ষে আমাদের সমর্থন প্রত্যাহার করছি।
গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে লেখাপড়া করছিল বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এসময় ফেসবুকের একটি পোস্টের জেরে তাকে ডেকে নিয়ে তিনদফা নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এরপর অনেকটা বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা