মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ছবি।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারি মিত্রবাহিনীর (ভারত ও রাশিয়ার) ৩১ যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেনটাল হোটেলে রাতে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন ও রাশিয়ার ৫ সদস্যকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) রাজেন্দ্র সিং কায়দান এবং রুশ দলের নেতৃত্ব দেন ভাসিলি মিহালোভিচ।
ভারত ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলটি মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। সফরকালে তারা বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সহায়তা করেছে তা বিশ্বে বিরল। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুুদ্ধের শেষদিকে যখন বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যম্ভাবী তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিরতির প্রস্তাব তুললে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান বাহিনীর পুতে রাখা মাইন অপসারণ করে। এ সময় কয়েকজন সোভিয়েত সেনা নিহত হন। রক্তের বিনিময়ে ভারত, রাশিয়া আর বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও শিথিল হবে না।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ -উর-রহমানসহ ভারতীয় হাইকমিশন, রাশিয়ান দুতাবাস, মুক্তিযুদ্ধ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন । পরে অতিথিরা সবাই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: আসলে একাত্তর সালের সময়টা মুখের কথায় বর্ণনা করা অত্যন্ত কঠিন : কামাল আহমেদ
# লালসবুজের কথার ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা