অনলাইন ডেস্ক
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে সৃষ্টি হয় আলোড়ন।ড. বিজন কুমার ঢাকার এক মিডিয়াকে বলেন, যেকোনো মহামারি অনেকটা সাইক্লোনের মতো ঝোড়ো বেগে এসে ক্ষয়ক্ষতি করে দুমচে-মুচড়ে দিয়ে একপর্যায়ে দুর্বল হয়ে শেষ হয়ে যায়।
কভিড-১৯ এর ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ঢাকায় সংক্রমণের পিক চলে গেছে। ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও বাড়ছে- সেটাই স্বাভাবিক। সংক্রমণও কমছে।
তাঁর প্রশ্ন- আমরা কোন দিকে যাচ্ছি, আমাদের দেশ থেকে করোনা বিদায় করতে আর কত দিন লাগতে
পারে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমাদের জনসংখ্যার ভেতর যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
ফলে সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে আসছে আপনা-আপনি। তবে এখন যদি আমরা অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করতে পারি, তবেই আমরা তার ফলাফল হিসাব করে নিশ্চিত হতে পারব আর কত দিনের মধ্যে দেশ থেকে করোনা বিদায় নেবে।
করোনার গতিবিধি এখন কিন্তু সঠিকভাবে ধারণা করা জটিল হয়ে পড়েছে। খুব দ্রুত মিউটেশন হচ্ছে। কেবল বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেও একই অবস্থা। নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আমাদের এখানেও তাই ঘটছে। প্রথম দিকে ছিল সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা থেকে শ্বাসকষ্ট।
কিন্তু এখন ডায়রিয়া কমন হয়ে পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। এখান থেকে আমি ভয় পাচ্ছি স্যুয়ারেজ হয়ে পানিতে যাচ্ছে কি না। পানিতে করোনাভাইরাস কী অবস্থায় ছড়ায়, সে সম্পর্কে কিন্তু এখনো পরিষ্কার ধারণা আসেনি।
যেমনটা শুরুতে বাতাসে ছড়ায় না বলা হলেও এখন সেটা হচ্ছে।কারণে সর্দি বা হাঁচি-কাশি হলো, তখন যদি তাঁর পরীক্ষা করা হয়? হয়তো আরটিপিসিআর টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসবে। কিন্তু সেই উপসর্গ ওই ভাইরাসের জন্য নয়।
কারণ ওই ভাইরাস ডেড ভাইরাস, সক্রিয় নয়। তবুও বলব, এই বিষয়গুলো নিয়ে দেশে ভালো একটা সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন, যা থেকে মিউটেশন পরিস্থিতি যেমন বুঝতে পারা যাবে, আবার রি-ইনফেশন নিয়ে মানুষের বিভ্রান্তিও দূর হবে।
করোনা নিয়ে দেশে গবেষণা শুরুর মতো অল্পসংখ্যক বিজ্ঞানী আছেন। তাঁরা চাইলে ভালো কাজ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে উপযুক্ত মানের ল্যাবরেটরি ও অর্থ। বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী হতে চাই।
তবে এ ক্ষেত্রে মিউটেশনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে সুফল পাওয়া কিছুটা কঠিন হবে। কারণ এখন
করোনা সংক্রমণ হচ্ছে মিউকাস অ্যাসোসিয়েটেড। ভ্যাকসিন হতে হবে সেই মোতাবেক। অ্যান্টিবডি কিভাবে কতটা হচ্ছে, না হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা।
ড: বিজন শীল বলেন, ডেঙ্গুর আরেকটি নতুন টেস্ট কিট উদ্ভাবনের কাজও করছেন, এটা সফল হলে বড় একটি উদ্ভাবন হতে পারে। ওই একটি কিট দিয়ে ডেঙ্গুর তিন ধরনের পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে, যা থ্রি ইন ওয়ান বলা যায়।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা