অনলাইন ডেস্ক
১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার, বেনগাজীর নিকটবর্তী সুলুক শহরে ওমর আল-মুখতারের ফাঁসির আয়োজন করা হয়। লিবিয়ানদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য ইতালিয়ানরা প্রায় বিশ হাজার মানুষকে ফাঁসির ময়দানে উপস্থিত করে। সকাল নয়টার সময় প্রকাশ্য ময়দানে জনসমক্ষে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। শহীদ হন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এক বীর যোদ্ধা, যিনি পরাজয় নিশ্চিত জেনেও অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করেননি। ৭৩ বছর বয়সে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত যিনি লড়ে গেছেন দখলদার বাহিনীর হাত থেকে নিজের দেশকে মুক্ত করার জন্য।
ওমর মুখতার লিবিয়ার সিরেনিকায় জানজুর গ্রামে ১৮৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সেনুসি আন্দোলনের মূল কেন্দ্র জাগবুবের সেনুসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। ১৮৯৯ সালে ফরাসিদের প্রতিহত করার জন্য সেনুসিদের সঙ্গে যুদ্ধে যান তিনি। ১৯১১ সালে ইতালি-তুর্কি যুদ্ধের সময় ইতালীয় নৌবাহিনীর একটি দল লিবিয়ার উপকূলে পৌঁছে এবং তিন দিন পর্যন্ত শহরে গোলাবর্ষণ করে। এর পর অধিকৃত অঞ্চলকে ইতালির অধীন বলে ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনা ইতালীয় ঔপনিবেশিক সেনাবাহিনী এবং ওমর মুখতারের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা করে।
পেশাগতভাবে শিক্ষক হলেও মুখতার মরুভূমির যুদ্ধকৌশল বিষয়ে ছিলেন অতিদক্ষ। স্থানীয় ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে তার সম্যক ধারণা ছিল। তার এ জ্ঞানকে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ইতালীয়দের বিরুদ্ধে কাজে লাগান। ইতালির তৎকালীন গভর্নর জেনারেল আটিলিয়ো তেরুজ্জি ওমরকে ‘ব্যতিক্রমী স্থিরচিত্ত ও অটল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করেন। মুখতারকে নিয়ে হলিউডে ১৯৮১ সালে ‘লায়ন অব দ্য ডেসার্ট’ নামে একটি সিনেমাও নির্মিত হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা