একই সুর শোনা গেল ভারতের অন্যত্রও
ভারত জুড়ে শিরোনামে এখন একটাই নাম নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা ক্যাব। বৃহস্পতিবার সেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
তবে সংবিধান বিরোধী আইনের কোনও স্থান নেই তাঁর রাজ্যে, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল যে সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষুন্ন করা যাবে না কোনওভাবেই।
সেদিক থেকে এই আইন কোনওভাবেই সংবিধানকে সমর্থন করে না। ক্ষমতার অহংকারে এই বিল পাস করানোর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তবে কেরলে তা প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। ধর্মভিত্তিক বৈষম্যের কোনও স্থান নেই এই রাজ্যে।”
উল্লেখ্য, নয়া আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামের কয়েকটি জায়গায় এই আইন প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে প্রথম থেকেই এনআরসি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঙ্কার ছেড়ে জানিয়েছিলেন, “অর্থনৈতিক ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ঝুলি থেকে বের করেছে এনআরসি আর ক্যাব।
ক্যাব নিয়ে বলছে, হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেব, মুসলিমদের দেব না, ক্যাব ও এনআরসির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। এনআরসি করতে দেব না, দেব না, দেব না। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন কেন হবে? হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, জৈন-সহ সকলকে নাগরিকত্ব দিন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সমর্থন করব।”
বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আপনারা সংখ্যার জোরে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিল পাস করিয়েছেন। তবে আমরা আপনাকে দেশ ভাঙতে দেব না। সবাই যদি চুপও করে তাঁকে, আমি আপমাকে বলছি, এর জন্য যদি আমাকে মরতেও হয়, তবে আমি তাই-ই করব।”
তবে চুপ থাকতে পারলেন না পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি সাফ জানান, “আমাদের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এবং বিলটি আটকাব। পাঞ্জাবে এই আইনটি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে ভাঙতে দেব না।”
একই সুর শোনা গেল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের গলাতেও। তিনি বলেন, “ক্যাব স্পষ্টতই অসাংবিধানিক। বিলের বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা ছত্তিশগড়ে প্রয়োগ করা হবে।”
পাশাপাশি গুজরাটের পড়শি রাজ্য রাজস্থানের অশোক গেহেলগট বলেছেন, “আমরা আগে বিলের যাবতীয় দিক বিবেচনা করব এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করব। তাঁরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করেছে তা সঠিক নয়। এই উদ্দেশ্য বিপজ্জনক।” ইন্ডিয়ান এক্রপ্রেস।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা