অনলাইন ডেস্ক
এ ঘটনার পরপর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও গত বুধবার ইসরায়েল সফর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি এমন হামলার পরও সেখানে গিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তিনি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটলেও এত দিন মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে গাজার হাসপাতালে হামলা এবং বাইডেনের ইসরায়েল সফরের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। যদিও এমনটা আগেই বলেছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেছিলেন, যুদ্ধের মধ্যে বাইডেনের তেলআবিব সফর ইরান ও অন্যান্য আরব দেশগুলো ভালোভাবে না-ও নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উসকানি হিসেবে দেখতে পারে এসব দেশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল তানফ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির উত্তরাঞ্চলে দিয়ার ইজ্জর এলাকায় কনোকো ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গত ২৪ ঘণ্টায় দুবার হামলা হয়েছে। এ হামলায় দুটি ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ড্রোন হামলার মধ্যে একটিতে কয়েকজন মার্কিন সেনা সামান্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্যটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে সেনা সদস্যরা।
এ ছাড়া ইয়েমেন উপকূলের কাছে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের পর নিশ্চিহ্ন করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, লোহিত সাগরের উত্তরে যুদ্ধজাহাজ তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ও একাধিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
মার্কিন সেনাঘাঁটি ও যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে এসব হামলার বিষয়টি পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার স্বীকার করেছেন। তবে সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় ঠিক কারা দায়ী তা জানাননি তিনি। এর আগে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হুমকি দিয়ে বলেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করলে তারা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাবে। অন্যদিকে লোহিত সাগরের উত্তরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জন্য ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের দায়ী করেছে পেন্টাগন।
গাজায় ইসরায়েল যে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে তার সঙ্গে মার্কিন সেনাঘাঁটি ও যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে এসব হামলার কোনো সরাসরি সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, সে সম্পর্কে পেন্টাগনের কাছে তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন রাইডার। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সেনা ও তাদের মিত্র দেশের সেনাদের রক্ষা করতে সব ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
সামনের দিনে বিভিন্ন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকতে পারে উল্লেখ করে রাইডার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এ কারণে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের দরজা খোলা রাখতে আমরা কাজ করছি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা