অনলাইন ডেস্ক
খাদ্য সহায়তা পেয়ে আনন্দিত ও আবেগ আপ্লুত হয়েছেন কর্মহীন শ্রমিকরা। উপহার সামগ্রীর প্যাকেজের মধ্যে ছিল- চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া ও মাস্ক।
আবুল বাশার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘৪ পোলাপানসহ ৬ জোনের সংসারে আমিই একা উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। লকডাউনে কাম কাইজ ছিলো না, কিন্তু কেউ সাহায্য হরে নায়। কোনোহান দিয়া পাইও নাই মোরা। বসুন্ধরাই প্রথম মোগো মাঝে ত্রাণ দেলো। দোআ হরি সামনেও যানি তারা মোগো নাহান গরীবগো পাশে দাড়াইতে পারে।’
ফারুক খান বলেন, কোন ঝই ঝামেলা ছাড়াই বসুন্ধরার উপহার পাইলাম। গেলো ২০ বছর ধইরা তো এহানে কাম করতাছি, কিন্তু মহামারির মতো এই বিপদের কালে এরহম কেউ মোগো নাহান গরীবগো পাশে আইস্যা খাড়ায় নাই। আল্লাহ হ্যাগো ভালো হরুক।
শ্রমিকদের মধ্যে উপহারসামগ্রী তুলে দেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা মাল্টি ফুডের আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোঃ শহিদুল ইমলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা মাল্টি ফুডের খুলনার সুপারভাইজার অমিত সরকার, পবিত্র স্টোরের বিকাশ সাহা, মনসা ভান্ডারের সঞ্জিব সাহা, তারকনাথ ভান্ডারের প্রবীর সাহা, বলদেব ভান্ডারের কৃষ্ণ গোপাল কুন্ডু, ভোলানাথ ভান্ডারের বিকাশ পাইক, মহাদেব ভান্ডারের পার্থ সাহাসহ শ্রমিক নেতারা।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা মাল্টি ফুডের আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোঃ শহিদুল ইমলাম বলেন, করোনার মহামারিকালে সংকট মোকাবিলায় বসুন্ধরা গ্রুপ প্রথম থেকেই বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ বরিশাল সদরে ১৩০ জন শ্রমিকদের প্রতিজনকে খাদ্যসামগ্রীর একটি প্যাকেজ উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গৌরনদীর টকরী, বানারীপাড়া ও ভোলাসহ বরিশাল অঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে আমরা মোট ৪১০ জন শ্রমিককে এ উপহার দিচ্ছি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা