স্বাভাবিক নিয়মেই যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যান করা চলছিল বিমানবন্দরে। এক যাত্রীর ব্যাগে বিমানবন্দরের স্ক্যানারে সন্দেহজনক কিছু ধরা পরতেই এগিয়ে আসেন কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। ব্যাগ খুলতেই তারা বাকরুদ্ধ। কারণ ব্যাগের মধ্যে রয়েছে একটি মিসাইল লঞ্চার।
আজব এই ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনের বাল্টিমোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনস্ট্রেশনের মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইন জানান, গত সোমবার সকালে এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে এই মিসাইল লঞ্চারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
যেখানে সামান্য একটা নেল কাটার এমনকি বাড়ির খাবার পর্যন্ত বিমানে নিয়ে ওঠার নিয়ম নেই, সেখানে কীভাবে একটা মিসাইল লঞ্চার ব্যাগে নিয়ে বিমান যাত্রার উদ্যোগ নিলেন এই যাত্রী? লিসা ফার্বস্টেইন জানান, ওই যাত্রী সেনাবাহিনীর কর্মী, টেক্সাসের জ্যাকসনভিলে অঞ্চলের বাসিন্দা।
তার ব্যাগে মিসাইল লঞ্চার এল কী ভাবে জানতে চাওয়ায় ওই যাত্রী জানান, কুয়েতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার সময় স্মারক হিসাবে এই মিসাইল লঞ্চারটি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি। রকেট লঞ্চারটি অকেজো। তাই নির্ভয়ে সঙ্গে নিয়ে চলেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, ওই যাত্রীর ব্যাগে যে মিসাইল লঞ্চারটি পাওয়া গেছে সেটি গ্রিফিন মিসাইল লঞ্চার। এই ধরনের মিসাইল যে কোনো জায়গা থেকেই ছোঁড়া যায়। ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমরাস্ত্র নিয়ে যাত্রীবাহী বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া যায় না, তাই ওই মিসাইল লঞ্চারটি বাজেয়াপ্ত করে স্টেট ফায়ার মার্শালের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করার পর ওই ব্যক্তিকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেয় বাল্টিমোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
NB:This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা