অনলাইন ডেস্ক
একই কারণে এর আগেও দু’দিন পথে নেমেছিল মানুষ। শনিবারও রিয়ো ডি জেনিরো, সাও পাওলো, বেলেম, রেসিফে এবং মাসিয়োর রাস্তার ভিড় বাঁধ মানছিল না। ক্ষোভ উগরে দিতে প্রেসিডেন্ট-বিরোধী পোস্টার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কারও পোস্টারে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট গণহত্যাকারী’। কেউ আবার পোস্টারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের ডাক দিচ্ছিলেন। মোটের উপর বিক্ষোভকারীদের মুখে একটাই সুর— আরও ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করুক সরকার।
অতিমারি পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা বা পারস্পরিক দূরত্ব রেখে চলার মতো বিধিনিষেধ পালন— ব্যক্তিগত ভাবে কোনও কিছুকেই কখনও তেমন গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি বোলসোনারোকে। দেশের মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও এর ছায়া পড়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। প্রতিষেধক আমদানি নিয়ে বোলসোনারো প্রশাসনের গড়িমসি ঘিরে ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্ত চলছে। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক না-আনিয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো কম কার্যকর ওষুধের দিকে প্রেসিডেন্টের ঝোঁক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিটি। তার মধ্যে কোভ্যক্সিনের ‘জাল বরাত’ দিয়ে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করার চক্রান্তের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের নাম জড়ানোয় ক্ষোভে ফুঁসছে ব্রাজিল।
সম্প্রতি বেশি দামে কোভ্যাক্সিন কেনার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি দফতরের এক আধিকারিক লুই রিকার্ডো মিরান্ডার। তিনি এই অসঙ্গতির অভিযোগ নিয়ে প্রথম বোলসোনারোরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখনের মতো বিষয়টি নিজে ফেডারেল পুলিশের কাছে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ তিনি তা করেননি। পরে বিলটি পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি ফোন আসতে থাকেমিরান্ডার কাছে!
তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, চক্রান্ত চলছে— এই দাবি করে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। পার্লামেন্ট কমিটির তদন্তকেও রাজনৈতিক ‘চক্রান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। যদিও বিক্ষুব্ধ জনতা তা মানতে নারাজ। রিয়োর মিছিলে পা মেলানো এক চিকিৎসক লিমা মেন্ডিসের যেমন মন্তব্য, ‘‘হঠকারী সিদ্ধান্ত, ভুয়ো খবর এবং মিথ্যে ছড়িয়ে সরকার প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে। এখন আবার টিকা নিয়ে এই দুর্নীতির অভিযোগ!’’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা