অনলাইন ডেস্ক
গল্পে আসবেন শাহিন শাহ আফ্রিদিও। ইনজুরি থেকে ফিরে এই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন; আবার ইনজুরিতেই ফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে চোট পেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ফাস্ট বোলার। তার জায়গায় বল করতে আসা ইফতিখার আহমেদের ওভারেই অর্গল খুলে যায় ইংলিশ ব্যাটিংয়ের। যে স্নায়ুক্ষয়ী সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছিল ম্যাচ, তাতে হুট করেই এক বাঁকবদল! সেরা অস্ত্রকে হারিয়ে আর স্টোকস-মইনদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি পাকিস্তান। ১ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাটলারের দল। ৪৯ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস।
ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে হেলসকে হারালেও বাটলার ঝড়ে সাময়িকভাবে কুপোকাত হয় পাকিস্তানি বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহকে ৩ বাউন্ডারি মেরে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন বাটলার। ৪টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ১৭ বলে ২৬ রানের কার্যকর ইনিংস উপহার দেন বাটলার। তবে হারিস রউফের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে পাকিস্তান। ফিল সল্ট ও বাটলারের উইকেট নেন এ পাকিস্তানি পেসার।
ব্যাট হাতে কিছুটা সংগ্রাম করেছেন বেন স্টোকস। বাড়তি পেস ও বাউন্সে টাইমিং ঠিক রাখতে ব্যর্থ হলেও স্ট্রাইক রোটেট করে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে শক্ত অবস্থানেই রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। মাঝে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন নাসিম শাহ-শাদাব খানরা। তবে ১৬-তম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি মাঠ ছেড়ে যান। এরপর গল্পটা স্টোকস-মইনদের।
এর আগে, টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। বাঁহাতি পেসার স্যাম কারেনের সুইং ও পেস বৈচিত্র্যের জবাব খুঁজে না পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সামনে ১৩৮ রানের মামুলি টার্গেট দেয় বাবর আজমের দল। ফাইনালের চাপ বিবেচনায় নিলে হয়তোবা অনিশ্চয়তার দেখা মিলবে মেলবোর্নে। তবে দেড়শোর বেশি পুঁজি গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও ইংলিশদের চেপে ধরা বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩১ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। শেষদিকে রানের মন্থর গতির মাশুল বিশ্বকাপ হারিয়েই গুনলো বাবর আজমের দল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা